Not known Details About সমাস কাকে বলে

নঞর্থক বা নাবাচক পদের সঙ্গে বিশেষ্যপদের যে বহুব্রীহি সমাস তাকেই নঞর্থক বহুব্রীহিসমাস বলে

সমাসের জন্য কয়েকটি সংজ্ঞা/ টার্মস জানা খুবই জরুরি। এগুলো হলো-

তদ্ধিতার্থে, উত্তরপদ পরে ও সমাহার বুঝালে সংখ্যাবাচক শব্দ পূর্বে থেকে যে সমাস হয়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। তদ্ধিতার্থে, যথাঃ পঞ্চ (পাঁচটি) গো দ্বারা ক্রীত = পঞ্চগু। উত্তরপদ পরে, যথাঃ পঞ্চ হস্ত প্রমাণ ইহার = পঞ্চহস্তপ্রমাণ। [এখানে প্রমাণ শব্দ উত্তরপদ পরে থাকায় পঞ্চ ও হস্ত এই দুই পদের দ্বিগু সমাস হয়েছে]। সমাহারে, যথাঃ ত্রি (তিন) লোকের সমাহার = ত্রিলোকী।

প্প্রতিচ্ছায়া, প্রতিচ্ছবি, প্রতিবিম্ব – প্রতিনিধি অর্থে (প্রতি) 

উপরের উদাহরণে সিংহ, চিহ্নিত, আসন প্রত্যেকটাই আলাদা আলাদা সমস্যমান পদ।

উপমেয় + রূপ + উপমান = রূপক কর্মধারয়সমাস

সমাস ও সন্ধির মধ্যে একটি বড় পার্থক্য হলো সমাসে দুই বর্ণের মধ্যে সাধারণত অব্যয় পদ ব্যবহার করা হয়,[২] কিন্তু অব্যয় পদের সঙ্গে কখনো সন্ধি হয় না।

এখানে দুটি বিশেষ্য পদ যোগে একটি বিশেষ্যপদ ই তৈরী হবে সমাসবদ্ধ পদ হিসেবে

৪৭ তম বিসিএস পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে এখনই এনরোল করুন।

যথাঃ পীত হইয়াছে read more অম্বর যাহার = পীতাম্বর (অর্থ শ্রীকৃষ্ণ)। এর ব্যাসবাক্যে একটি যদ্ শব্দের প্রয়োগ থাকে।

ছয়টি প্রধান সমাস ছাড়াও কয়েকটি অপ্রধান সমাস রয়েছে। যেমন: প্রাদি, নিত্য, অলুক, উপপদ ইত্যাদি। এসব সমাসের প্রচুর উদাহরণ পাওয়া যায় না। এজন্য এগুলোকে অপ্রধান মনে করা হয়।

হাতে খড়ি দেওয়া হয় যে অনুষ্ঠানে – হাতেখড়ি

মিত্র, সুবলচন্দ্র (১৯৯৫), সরল বাঙ্গালা অভিধান, নিউ বেঙ্গল প্রেস প্রাইভেট লিমিটেড, কোলকাতা।

সমস্যমান পদ: প্রত্যেকটি পদ যার মিলনে সমাস গঠিত হয়।[২]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *